গত ১৩ই নভেম্বর, মিরসরাই থানার ৮ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পূর্বে দুর্গাপুর গ্রামে এক ভণ্ড পীরের হাতে নিহত হয় শাহজাহান বেগম নামের এক গৃহবধূ। এলাকাবাসীদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে হারুন অর রশিদের স্ত্রী শাহজাহান বেগম কঠিন রোগে ভুগছিলেন। অত্র এলাকায় মামা ফকির নামে পরিচিত ৫ বছর বয়সী জাহিদ হাসানের কাছে গৃহবধূ শাহজাহান বেগমকে নেওয়া হয়। চিকিৎসার নাম করে গৃহবধূর মুখে জ্বলন্ত মোমবাতির শিখা ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ব্লেড দিয়ে টান দিয়ে শাহজাহান বেগমকে রক্তাক্ত করা হয়। তারপর পীর ও তার লোকেরা শাহজাহান বেগমকে তেঁতুল গাছের শক্ত ঢাল দিয়ে ৫ ঘণ্টা পেটায়। এরপর, গৃহবধূ শাহজাহান বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়াতে, শাহজাহান বেগমকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শাহজাহান বেগম মৃত্যুকোলে ঢলে পরেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মামা ফকির নামে পরিচিত ৫ বছর বয়সী পীরটি হোসেন নামক এক লোকের নাতি। এক বছর আগ পর্যন্ত জাহিদের মানসিক ভারসাম্য ছিল না। তার নানা জাকির হোসেন তার চিকিৎসা করিয়ে এলাকায় প্রচার করে জাহিদ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে পারে। এরপর থেকে স্থানীয় অনেক লোকজন রোগ থেকে মুক্তি লাভের আশায় জাকির হোসেনের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করে। তাদের এই প্ররোচনার শিকার হয়েই অকালে জীবন দিতে হল শাহজাহান বেগমকে। তার এই মৃত্যুর সংবাদকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পুলিশকে না জানিয়ে শাহজাহান বেগমের বাবার বাড়িতে তার লাশ গোপনে দাফন করা হয়। মিরসরাই থানার ওসি ইফতেখার হাসান এই ব্যাপারে সামগ্রিক পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।